A
- অ্যান্ড্রয়েড (android) : অ্যান্ড্রয়েড হচ্ছে একটি অপারেটিং সিস্টেম। আমরা কম্পিউটারে যেমন উইন্ডোজ, উবুন্টু, লিনাক্স মিন্ট, ম্যাক ইত্যাদি অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করি, তেমনি স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট ডিভাইসের জন্য তৈরি করা হয়েছে এই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। উইন্ডোজের যেমন এক্সপি, ভিসতা, ৭, ৮ ইত্যাদি সংস্করণ রয়েছে, ঠিক তেমনি অ্যান্ড্রয়েডেরও বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে। সর্বশেষ তিনটি সংস্করণের নাম অ্যান্ড্রয়েড জিঞ্জারব্রেড (২.৩), অ্যান্ড্রয়েড আইসক্রিম স্যান্ডউইচ (৪.০) এবং অ্যান্ড্রয়েড জেলি বিন (৪.১)।সার্চ ইঞ্জিনখ্যাত প্রতিষ্ঠান গুগল অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান। এরা অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সংস্করণ বের করে যার উপর ভিত্তি করে স্যামসাং, সনি, এলজি ইত্যাদি কোম্পানি তাদের বিভিন্ন ফোন ও ট্যাবলেট তৈরি করে থাকে। প্রত্যেকেরই আবার আলাদা আলাদা ইউজার ইন্টারফেস রয়েছে। কেননা, অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপাররা নিজের পছন্দমতো সাজাতে পারেন অ্যান্ড্রয়েডের চেহারা।
- এ-জিপিএস (AGPS) : এ-জিপিএস মূলত অ্যাসিসটেড জিপিএস-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এই প্রযুক্তি যেসব ডিভাইসে রয়েছে সেসব ডিভাইসের জিপিএস দ্রুত অবস্থান নির্ণয় করতে পারে। এ কাজের জন্য প্রযুক্তিটি মোবাইল নেটওয়ার্কের সাহায্য নেয়। মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান জেনে জিপিএস স্যাটেলাইটগুলো সহজেই ডিভাইসের সম্ভাব্য অবস্থান নির্ণয় করতে পারবে। জিপিএস সম্পর্কে জানতে নিচে দেখুন।
- এপিকে (APK) : অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ইন্সটলযোগ্য ফাইল এক্সটেনশন। উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা যেমন .exe ফাইল ব্যবহার করে বিভিন্ন সফটওয়্যার ইন্সটল করে থাকেন, ঠিক তেমনি অ্যান্ড্রয়েডে .apk ফাইল ব্যবহার করে অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করা হয়।
B
- বুটলোডার (bootloader) : বুটলোডার হচ্ছে ফোনের ইন্টারনাল মেমোরির একটি অংশ যা ফোনের অপারেটিং সিস্টেমকে চালু করে। অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে, ডিভাইসের (হার্ডওয়্যার) অপারেটিং সিস্টেম (অ্যান্ড্রয়েড) চালু করায় যা তা-ই বুটলোডার। অপারেটিং সিস্টেম চালু হওয়ার আগেই ছোটখাটো পরিবর্তন আনার জন্য ডিভাইস রুট করা হয়ে থাকে। এছাড়াও কাস্টম রম ব্যবহারের জন্য বুটলোডার আনলক করার দরকার হয়। সাধারণত এই কাজে ডিভাইসের ওয়ারেন্টি বাতিল হয়। তবে অনেক ডিভাইসই আবার বুটলোডার লক করে আনরুট করে ওয়ারেন্টি ফিরিয়ে আনা যায়।
- ব্রিক (brick) : ব্রিক এর অর্থ হচ্ছে ইট। আর ফোন বা ডিভাইস ব্রিক করা মানে একে অনেকটা ইটে রূপান্তরিত করা। মূলত রুট বা এ জাতীয় অ্যাডভান্সড কাজ করার সময় অসাবধানতাবশতঃ ফোন ব্রিক হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্রিক হওয়া ফোন ঠিক করা যায়। তবে হার্ড ব্রিক হলে সেই ফোন ঠিক হওয়ার সুযোগ কমই থাকে। সাধারণত হার্ডওয়্যারে সমস্যা হলে, যেমন মাত্রাতিরিক্ত ওভারক্লকিং-এর ফলে সিপিইউ অনেক গরম হয়ে বন্ধ হয়ে গেলে ফোন হার্ড ব্রিক হয়ে থাকে।
C
- কাস্টম (custom) : সাধারণত ডিভাইসের সঙ্গে আসেনি এমন জিনিসগুলোকেই কাস্টম বলা হয়। যেমন, যেই রম মোবাইলের সঙ্গে দেয়া থাকে না তাকে কাস্টম রম বলে। রম সম্পর্কে জানতে নিচে দেখুন।
- কাস্টম রম (custom-rom) : অ্যান্ড্রয়েড অথবা কোনো ডিভাইস প্রস্তুতকারকের দেয়া রম ব্যতীত অন্য যেসব রম ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহারকারীরা ব্যবহারের সুবিধা পেয়ে থাকেন, সেগুলোকে কাস্টম রম বলে। রম সম্পর্কে জানতে নিচে দেখুন।
- কাস্টোমাইজ : নিজের মতো করে আলাদাভাবে বিভিন্ন সেটিংস ঠিকঠাক করা ও সাজানো।
- ক্লক স্পিড (clockspeed) : আপনার ডিভাইসের সিপিইউ কত দ্রুত কাজ করতে পারে সেই দ্রুততাকে ক্লক স্পিড বলে হিসেব করা হয়। ডিভাইস রুট করার মাধ্যমে সিপিইউ’র এই ক্লক স্পিড নিচের ইচ্ছেমতো বাড়ানো-কমানো যায়। এ নিয়ে নিচে ওভারক্লক ও আন্ডারক্লক বিষয়ে দেখুন।
- সিপিইউ (CPU) : সিপিইউ আপনার ডিভাইস পরিচালনার মূল কাজটি করে থাকে। এটিই নিয়ন্ত্রণ করে আপনার ডিভাইস কতটা দ্রুত কাজ করতে পারবে, কতটুকু কাজের ভার একসঙ্গে নিতে পারবে ইত্যাদি।
- CyanogenMod (CM) : সায়ানোজেন মূলত একজন রম ডেভেলপারের নাম যিনি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের মাঝে সর্বাধিক জনপ্রিয়। বর্তমানে তিনি তার কিছু নিবেদিত ডেভেলপারদের সঙ্গে এক হয়ে সায়ানোজেনমড নামের এই কাস্টম রম তৈরি করে থাকেন। সংক্ষেপে একে সিএম বলেও ডাকা হয়। এর বিভিন্ন সংস্করণ একটি সংখ্যা দিয়ে বোঝানো হয় সেটি অ্যান্ড্রয়েডের কোন সংস্করণের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। যেমনঃ আইসক্রিম স্যান্ডউইচের জন্য সিএম ৯, জেলি বিন-এর জন্য সিএম ১০ ইত্যাদি।
- CWM (CWM) : ..
D
- ডিভাইস (device) : যে কোনো গ্যাজেট বা প্রযুক্তি পণ্যকেই ডিভাইস বলা যেতে পারে। একটি ঘড়ি যদি অ্যান্ড্রয়েডে চালিত হয় তাহলে আমরা ঘড়িটিকে ডিভাইস বলতে পারি। তবে স্বাভাবিক অর্থে ডিভাইস বলতে স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট পিসিকেই বোঝানো হয়ে থাকে। এটি নির্ভর করে কী ধরনের ডিভাইসের কথা বলা হচ্ছে এর উপর।
E
- এক্সটার্নাল (external) : আলাদা। যেমন এক্সটার্নাল মেমোরি স্লট বলতে বোঝায় আলাদা মেমোরি কার্ড লাগানোর জায়গা।
F
- ফ্ল্যাশ (flash) : ফ্ল্যাশ করা বলতে কাস্টম রম, রিকভারি ইমেজ ইত্যাদি ফোনের ইন্টারনাল মেমোরিতে থাকা রম বা কোনো সফটওয়্যারের অংশকে বদলে ইন্সটল করার পদ্ধতিকে বোঝানো হয়।
I
- আইওএস (iOS) : অ্যাপলের আইফোন, আইপড টাচ ও আইপ্যাডের বিভিন্ন সংস্করণে ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম। একে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ধরা হয়।
- ইন্টারনাল (internal) : ফোনের সঙ্গে বিল্ট-ইন থাকা মেমোরি যা থেকে ফোনকে আলাদা করা যায় না।
K
- কার্নেল (kernel) : কম্পিউটার ও বিভিন্ন ডিভাইসে কার্নেল হচ্ছে সেই জিনিস যা অ্যাপ্লিকেশন বা অপারেটিং সিস্টেম এবং হার্ডওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় সৃষ্টি করে। মোবাইলের ক্ষেত্রে, আপনি যখন কোনো অ্যাপ্লিকেশনে টাচ করেন, তখন সেই টাচ কোথায় হয়েছে এবং তার কী কমান্ড রয়েছে সেই নির্দেশটি হার্ডওয়্যারে পৌঁছানোর কাজটিই এই কার্নেল করে থাকে। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম-চালিত ফোন ও ট্যাবলেট লিনাক্সের বিভিন্ন কার্নেলের উপর তৈরি করা হয়ে থাকে।
M
- ম্যালিশিয়াস (malicious) : ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম যা ডিভাইসের তথ্য হ্যাকারদের কাছে পাচার করতে পারে অথবা ডিভাইসের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হ্যাকারদের দখলে দিয়ে দিতে পারে।
N
- এনএফসি (NFC): নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশনের সংক্ষিপ্ত রূপ। এই প্রযুক্তির ফলে কোনো প্রকার ইন্টারনেট বা ব্লুটুথ সংযোগ ছাড়াই দু’টি এনএফসি-এনাবলড ডিভাইস পাশাপাশি রেখে রেডিও সিগনালের মাধ্যমে ফাইল ট্রান্সফার করা যায়। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস থ্রি’র বিজ্ঞাপনে অনেকে এই প্রযুক্তির ব্যবহার দেখে থাকবেন।
O
- অপারেটিং সিস্টেম (OS): ডিভাইসের মূল সিস্টেম সফটওয়্যার। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেমই হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড। অন্য কথায়, অ্যান্ড্রয়েডই হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেম। তবে এর বিভিন্ন সংস্করণের বিভিন্ন নাম রয়েছে। যেমনঃ জিঞ্জারব্রেড, আইসক্রিম স্যান্ডউইচ, জেলি বিন ইত্যাদি।
- ওভারক্লক (overclock) : প্রসেসরের গতিকে স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়িয়ে তোলাকে ওভারক্লক বলা হয়। তবে একটি নির্দিষ্ট সীমার বেশি ওভারক্লক করলে ডিভাইস স্থায়ীভাবে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
P
- প্রসেসর (processor) : সিপিইউকেই প্রসেসর বলে ডাকা হয়ে থাকে। তবে আরও সঠিকভাবে বলতে গেলে, ডিভাইসের যাবতীয় কাজ যে হার্ডওয়্যার সম্পন্ন করে তাকেই প্রসেসর বলে।
R
- রুট (root) : ডিভাইসের পূর্ণ কর্তৃত্ব হাতে নেয়ার প্রক্রিয়া। বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি দেখুন।
- রম (rom) : রম হচ্ছে রিড অনলি মেমোরির সংক্ষিপ্ত রূপ। অ্যান্ড্রয়েড জগতে রম দুই ধরনের হয়ে থাকে। স্টক রম ও কাস্টম রম। এগুলো হচ্ছে ফোনের ইন্টারনাল মেমোরিতে থাকা কিছু ডেটা যা অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে লোড হয়ে থাকে। মূলত এটিই পুরো ডিভাইসের ইন্টারফেসকে নিয়ন্ত্রণ করে। স্টক রম হচ্ছে যেটি ডিভাইসটির প্রস্তুতকারক কোম্পানি দিয়ে থাকে, আর কাস্টম রম হচ্ছে যেটি ব্যবহারকারীরা আলাদা ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে পারেন।
S
- স্টক (stock) : ফোন বা ডিভাইসের সঙ্গে ডিফল্ট যেসব থাকে সেগুলোকে স্টক বলে। যেমনঃ স্টক ব্রাউজার, স্টক রম ইত্যাদি।
T
U
- আন্ডারক্লক (underclock) : প্রসেসরের কাজ করার ক্ষমতা কমিয়ে আনাকে আন্ডারক্লক বলে। ফোন যখন অলস পড়ে থাকে সেই সময়ে প্রসেসরের কাজ কমিয়ে এনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর প্রক্রিয়াকে আন্ডারক্লক বলা হয়।
- আনরুট (unroot) : রুট করে সুপারইউজার পারমিশন পাওয়া যায়। এই পারমিশনকে বাতিল করে ডিভাইস আগের মতো লক করার পদ্ধতিকে বলে আনরুট।
- ইউআই (UI) : ইউজার ইন্টারফেসের সংক্ষিপ্ত রূপ। মূলত ডিভাইসের অথবা কোনো নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনের যে ডিজাইন রয়েছে তাকেই ইউজার ইন্টারফেস বলা হয়ে থাকে।
X
- এক্সডিএ (xda) : অ্যান্ড্রয়েড-ভিত্তিক ডেভেলপারদের সবচেয়ে বড় ফোরাম। বেশিরভাগ কাস্টম রমসহ বিভিন্ন অ্যাডভান্সড বিষয়ে এখানেই আলোচনা করা হয়। অ্যান্ড্রয়েড কথনের বিভিন্ন অ্যাডভান্সড বিষয়ের অন্যতম সূত্র হচ্ছে এক্সডিএ ফোরামস।
Watch Free Movies at Videoslots.cc - Vimeo
ReplyDeleteWatch free movies at Videoslots.cc. For those youtube to mp3 320kbps who don't know, Vimeo is the free short form version of a classic YouTube channel.
Casino of Washington Hotel and Casino - Mapyro
ReplyDeleteFind the best Casino of Washington Hotel and 원주 출장샵 Casino, Washington and save big with a Map! Casino of Washington, D.C. Casino of Washington, D.C. Casino of Washington, D.C. Casino 거제 출장안마 of 서귀포 출장샵 Washington, D.C. 군산 출장안마 Casino of 춘천 출장안마 Washington, D.C.