Pages

Showing posts with label Android. Show all posts
Showing posts with label Android. Show all posts

Monday, 18 August 2014

অ্যান্ড্রয়েড অভিধান

 A
  • অ্যান্ড্রয়েড (android) : অ্যান্ড্রয়েড হচ্ছে একটি অপারেটিং সিস্টেম। আমরা কম্পিউটারে যেমন উইন্ডোজ, উবুন্টু, লিনাক্স মিন্ট, ম্যাক ইত্যাদি অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করি, তেমনি স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট ডিভাইসের জন্য তৈরি করা হয়েছে এই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। উইন্ডোজের যেমন এক্সপি, ভিসতা, ৭, ৮ ইত্যাদি সংস্করণ রয়েছে, ঠিক তেমনি অ্যান্ড্রয়েডেরও বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে। সর্বশেষ তিনটি সংস্করণের নাম অ্যান্ড্রয়েড জিঞ্জারব্রেড (২.৩), অ্যান্ড্রয়েড আইসক্রিম স্যান্ডউইচ (৪.০) এবং অ্যান্ড্রয়েড জেলি বিন (৪.১)।সার্চ ইঞ্জিনখ্যাত প্রতিষ্ঠান গুগল অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান। এরা অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সংস্করণ বের করে যার উপর ভিত্তি করে স্যামসাং, সনি, এলজি ইত্যাদি কোম্পানি তাদের বিভিন্ন ফোন ও ট্যাবলেট তৈরি করে থাকে।  প্রত্যেকেরই আবার আলাদা আলাদা ইউজার ইন্টারফেস রয়েছে। কেননা, অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপাররা নিজের পছন্দমতো সাজাতে পারেন অ্যান্ড্রয়েডের চেহারা।
  • এ-জিপিএস (AGPS) : এ-জিপিএস মূলত অ্যাসিসটেড জিপিএস-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এই প্রযুক্তি যেসব ডিভাইসে রয়েছে সেসব ডিভাইসের জিপিএস দ্রুত অবস্থান নির্ণয় করতে পারে। এ কাজের জন্য প্রযুক্তিটি মোবাইল নেটওয়ার্কের সাহায্য নেয়। মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান জেনে জিপিএস স্যাটেলাইটগুলো সহজেই ডিভাইসের সম্ভাব্য অবস্থান নির্ণয় করতে পারবে। জিপিএস সম্পর্কে জানতে নিচে দেখুন।
  • এপিকে (APK) : অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ইন্সটলযোগ্য ফাইল এক্সটেনশন। উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা যেমন .exe ফাইল ব্যবহার করে বিভিন্ন সফটওয়্যার ইন্সটল করে থাকেন, ঠিক তেমনি অ্যান্ড্রয়েডে .apk ফাইল ব্যবহার করে অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করা হয়।

B

  •  বুটলোডার (bootloader) : বুটলোডার হচ্ছে ফোনের ইন্টারনাল মেমোরির একটি অংশ যা ফোনের অপারেটিং সিস্টেমকে চালু করে। অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে, ডিভাইসের (হার্ডওয়্যার) অপারেটিং সিস্টেম (অ্যান্ড্রয়েড) চালু করায় যা তা-ই বুটলোডার। অপারেটিং সিস্টেম চালু হওয়ার আগেই ছোটখাটো পরিবর্তন আনার জন্য ডিভাইস রুট করা হয়ে থাকে। এছাড়াও কাস্টম রম ব্যবহারের জন্য বুটলোডার আনলক করার দরকার হয়। সাধারণত এই কাজে ডিভাইসের ওয়ারেন্টি বাতিল হয়। তবে অনেক ডিভাইসই আবার বুটলোডার লক করে আনরুট করে ওয়ারেন্টি ফিরিয়ে আনা যায়।
  • ব্রিক (brick) : ব্রিক এর অর্থ হচ্ছে ইট। আর ফোন বা ডিভাইস ব্রিক করা মানে একে অনেকটা ইটে রূপান্তরিত করা। মূলত রুট বা এ জাতীয় অ্যাডভান্সড কাজ করার সময় অসাবধানতাবশতঃ ফোন ব্রিক হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্রিক হওয়া ফোন ঠিক করা যায়। তবে হার্ড ব্রিক হলে সেই ফোন ঠিক হওয়ার সুযোগ কমই থাকে। সাধারণত হার্ডওয়্যারে সমস্যা হলে, যেমন মাত্রাতিরিক্ত ওভারক্লকিং-এর ফলে সিপিইউ অনেক গরম হয়ে বন্ধ হয়ে গেলে ফোন হার্ড ব্রিক হয়ে থাকে।

C

  • কাস্টম (custom) : সাধারণত ডিভাইসের সঙ্গে আসেনি এমন জিনিসগুলোকেই কাস্টম বলা হয়। যেমন, যেই রম মোবাইলের সঙ্গে দেয়া থাকে না তাকে কাস্টম রম বলে। রম সম্পর্কে জানতে নিচে দেখুন।
  •  কাস্টম রম (custom-rom) : অ্যান্ড্রয়েড অথবা কোনো ডিভাইস প্রস্তুতকারকের দেয়া রম ব্যতীত অন্য যেসব রম ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহারকারীরা ব্যবহারের সুবিধা পেয়ে থাকেন, সেগুলোকে কাস্টম রম বলে। রম সম্পর্কে জানতে নিচে দেখুন।
  • কাস্টোমাইজ : নিজের মতো করে আলাদাভাবে বিভিন্ন সেটিংস ঠিকঠাক করা ও সাজানো।
  • ক্লক স্পিড (clockspeed) : আপনার ডিভাইসের সিপিইউ কত দ্রুত কাজ করতে পারে সেই দ্রুততাকে ক্লক স্পিড বলে হিসেব করা হয়। ডিভাইস রুট করার মাধ্যমে সিপিইউ’র এই ক্লক স্পিড নিচের ইচ্ছেমতো বাড়ানো-কমানো যায়। এ নিয়ে নিচে ওভারক্লক ও আন্ডারক্লক বিষয়ে দেখুন।
  • সিপিইউ (CPU) : সিপিইউ আপনার ডিভাইস পরিচালনার মূল কাজটি করে থাকে। এটিই নিয়ন্ত্রণ করে আপনার ডিভাইস কতটা দ্রুত কাজ করতে পারবে, কতটুকু কাজের ভার একসঙ্গে নিতে পারবে ইত্যাদি।
  • CyanogenMod (CM) : সায়ানোজেন মূলত একজন রম ডেভেলপারের নাম যিনি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের মাঝে সর্বাধিক জনপ্রিয়। বর্তমানে তিনি তার কিছু নিবেদিত ডেভেলপারদের সঙ্গে এক হয়ে সায়ানোজেনমড নামের এই কাস্টম রম তৈরি করে থাকেন। সংক্ষেপে একে সিএম বলেও ডাকা হয়। এর বিভিন্ন সংস্করণ একটি সংখ্যা দিয়ে বোঝানো হয় সেটি অ্যান্ড্রয়েডের কোন সংস্করণের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। যেমনঃ আইসক্রিম স্যান্ডউইচের জন্য সিএম ৯, জেলি বিন-এর জন্য সিএম ১০ ইত্যাদি।
  • CWM (CWM) : ..

D

  •  ডিভাইস (device) : যে কোনো গ্যাজেট বা প্রযুক্তি পণ্যকেই ডিভাইস বলা যেতে পারে। একটি ঘড়ি যদি অ্যান্ড্রয়েডে চালিত হয় তাহলে আমরা ঘড়িটিকে ডিভাইস বলতে পারি। তবে স্বাভাবিক অর্থে ডিভাইস বলতে স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট পিসিকেই বোঝানো হয়ে থাকে। এটি নির্ভর করে কী ধরনের ডিভাইসের কথা বলা হচ্ছে এর উপর।

E

  •  এক্সটার্নাল (external) : আলাদা। যেমন এক্সটার্নাল মেমোরি স্লট বলতে বোঝায় আলাদা মেমোরি কার্ড লাগানোর জায়গা।

F

  •  ফ্ল্যাশ (flash) : ফ্ল্যাশ করা বলতে কাস্টম রম, রিকভারি ইমেজ ইত্যাদি ফোনের ইন্টারনাল মেমোরিতে থাকা রম বা কোনো সফটওয়্যারের অংশকে বদলে ইন্সটল করার পদ্ধতিকে বোঝানো হয়।

I

  • আইওএস (iOS) : অ্যাপলের আইফোন, আইপড টাচ ও আইপ্যাডের বিভিন্ন সংস্করণে ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম। একে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ধরা হয়।
  • ইন্টারনাল (internal) : ফোনের সঙ্গে বিল্ট-ইন থাকা মেমোরি যা থেকে ফোনকে আলাদা করা যায় না।

K

  •  কার্নেল (kernel) : কম্পিউটার ও বিভিন্ন ডিভাইসে কার্নেল হচ্ছে সেই জিনিস যা অ্যাপ্লিকেশন বা অপারেটিং সিস্টেম এবং হার্ডওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় সৃষ্টি করে। মোবাইলের ক্ষেত্রে, আপনি যখন কোনো অ্যাপ্লিকেশনে টাচ করেন, তখন সেই টাচ কোথায় হয়েছে এবং তার কী কমান্ড রয়েছে সেই নির্দেশটি হার্ডওয়্যারে পৌঁছানোর কাজটিই এই কার্নেল করে থাকে। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম-চালিত ফোন ও ট্যাবলেট লিনাক্সের বিভিন্ন কার্নেলের উপর তৈরি করা হয়ে থাকে।

M

  •  ম্যালিশিয়াস (malicious) : ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম যা ডিভাইসের তথ্য হ্যাকারদের কাছে পাচার করতে পারে অথবা ডিভাইসের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হ্যাকারদের দখলে দিয়ে দিতে পারে।

N

  •  এনএফসি (NFC): নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশনের সংক্ষিপ্ত রূপ। এই প্রযুক্তির ফলে কোনো প্রকার ইন্টারনেট বা ব্লুটুথ সংযোগ ছাড়াই দু’টি এনএফসি-এনাবলড ডিভাইস পাশাপাশি রেখে রেডিও সিগনালের মাধ্যমে ফাইল ট্রান্সফার করা যায়। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস থ্রি’র বিজ্ঞাপনে অনেকে এই প্রযুক্তির ব্যবহার দেখে থাকবেন।

O

  •  অপারেটিং সিস্টেম (OS): ডিভাইসের মূল সিস্টেম সফটওয়্যার। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেমই হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড। অন্য কথায়, অ্যান্ড্রয়েডই হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেম। তবে এর বিভিন্ন সংস্করণের বিভিন্ন নাম রয়েছে। যেমনঃ জিঞ্জারব্রেড, আইসক্রিম স্যান্ডউইচ, জেলি বিন ইত্যাদি।
  • ওভারক্লক (overclock) : প্রসেসরের গতিকে স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়িয়ে তোলাকে ওভারক্লক বলা হয়। তবে একটি নির্দিষ্ট সীমার বেশি ওভারক্লক করলে ডিভাইস স্থায়ীভাবে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

P

  • প্রসেসর (processor) : সিপিইউকেই প্রসেসর বলে ডাকা হয়ে থাকে। তবে আরও সঠিকভাবে বলতে গেলে, ডিভাইসের যাবতীয় কাজ যে হার্ডওয়্যার সম্পন্ন করে তাকেই প্রসেসর বলে।

R

  • রুট (root) : ডিভাইসের পূর্ণ কর্তৃত্ব হাতে নেয়ার প্রক্রিয়া। বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি দেখুন
  • রম (rom) : রম হচ্ছে রিড অনলি মেমোরির সংক্ষিপ্ত রূপ। অ্যান্ড্রয়েড জগতে রম দুই ধরনের হয়ে থাকে। স্টক রম ও কাস্টম রম। এগুলো হচ্ছে ফোনের ইন্টারনাল মেমোরিতে থাকা কিছু ডেটা যা অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে লোড হয়ে থাকে। মূলত এটিই পুরো ডিভাইসের ইন্টারফেসকে নিয়ন্ত্রণ করে। স্টক রম হচ্ছে যেটি ডিভাইসটির প্রস্তুতকারক কোম্পানি দিয়ে থাকে, আর কাস্টম রম হচ্ছে যেটি ব্যবহারকারীরা আলাদা ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে পারেন।

S

  •  স্টক (stock) : ফোন বা ডিভাইসের সঙ্গে ডিফল্ট যেসব থাকে সেগুলোকে স্টক বলে। যেমনঃ স্টক ব্রাউজার, স্টক রম ইত্যাদি।

T

  •  টুইক (tweak) : ডিভাইসের কোনো সেটিংসে ছোটখাটো পরিবর্তন আনা।

U

  • আন্ডারক্লক (underclock) : প্রসেসরের কাজ করার ক্ষমতা কমিয়ে আনাকে আন্ডারক্লক বলে। ফোন যখন অলস পড়ে থাকে সেই সময়ে প্রসেসরের কাজ কমিয়ে এনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর প্রক্রিয়াকে আন্ডারক্লক বলা হয়।
  • আনরুট (unroot) : রুট করে সুপারইউজার পারমিশন পাওয়া যায়। এই পারমিশনকে বাতিল করে ডিভাইস আগের মতো লক করার পদ্ধতিকে বলে আনরুট।
  • ইউআই (UI) : ইউজার ইন্টারফেসের সংক্ষিপ্ত রূপ। মূলত ডিভাইসের অথবা কোনো নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনের যে ডিজাইন রয়েছে তাকেই ইউজার ইন্টারফেস বলা হয়ে থাকে।

X

  •  এক্সডিএ (xda) : অ্যান্ড্রয়েড-ভিত্তিক ডেভেলপারদের সবচেয়ে বড় ফোরাম। বেশিরভাগ কাস্টম রমসহ বিভিন্ন অ্যাডভান্সড বিষয়ে এখানেই আলোচনা করা হয়। অ্যান্ড্রয়েড কথনের বিভিন্ন অ্যাডভান্সড বিষয়ের অন্যতম সূত্র হচ্ছে এক্সডিএ ফোরামস।
সৌজন্যেঃ http://www.androidkothon.com/glossary

রুট কী ও কেন, সুবিধা ও অসুবিধা

root
রুট শব্দটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা প্রায়ই শুনে থাকবেন। অ্যান্ড্রয়েড কথনে তো বটেই, অ্যান্ড্রয়েড বিষয়ক অন্যান্য সাইট, ফোরাম, এমনকি গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপ্লিকেশনও চোখে পড়বে যেগুলো ব্যবহার করতে হলে আপনার ফোন বা ট্যাবলেট রুট করা থাকতে হয়। প্রাথমিকভাবে অনেক অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহারকারীরাই রুট কী এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানেন না। রুট করার মাধ্যমে ডিভাইসের পরিপূর্ণ পারফরম্যান্স পাওয়া সম্ভব, এমন কথা শুনে অনেকেই রুট করতে আগ্রহী হয়ে পড়েন। কিন্তু রুট করার পর দেখা যায় তাদের ডিভাইসের পারফরম্যান্স আগের মতোই রয়ে যায়। তখন তারা হতাশ হয়ে পড়েন ও রুটের কার্যকারিতা বা আসল সুবিধা কী এই প্রশ্ন তাদের মনে আবারও উঁকি দিতে শুরু করে।
এই লেখাটি তাদের জন্যই যাদের রুট নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই। এই লেখাটিতে আমি খুব সাধারণভাবে রুট কী তা বোঝানোর চেষ্টা করবো ও ডিভাইস রুট করার সুবিধা ও অসুবিধা সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করবো। যেহেতু লেখাটি একদমই নতুন ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্য করে লেখা, তাই বেশিরভাগ টেকনিক্যাল বিষয়গুলো এড়িয়ে কেবল একটি স্পষ্ট ধারণা দেয়ার মতো করে লেখাটি সংক্ষেপিত করা হয়েছে। অ্যাডভান্সড ব্যবহারকারীরা রুট সম্পর্কে যথেষ্টই ধারণা রাখেন বলে আমার ধারণা। তাই লেখাটি তাদের উদ্দেশ্য করে নয়।

রুট কী?

সবচেয়ে সহজ শব্দে বলা যায়, রুট হচ্ছে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা প্রশাসক। যদিও এর বাংলা অর্থ গাছের শিকড়, লিনাক্সের জগতে রুট বলতে সেই পারমিশন বা অনুমতিকে বোঝায় যা ব্যবহারকারীকে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী করে তোলে (অবশ্যই কেবল সেই কম্পিউটার, ডিভাইস বা সার্ভারে!)। রুট হচ্ছে একটি পারমিশন বা অনুমতি। এই অনুমতি থাকলে ব্যবহারকারী সেই ডিভাইসে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারকারী অ্যাডমিনিস্ট্রেটর প্রিভিলেজ ছাড়া সিস্টেম ফাইলগুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন না (যেগুলো সাধারণত সি ড্রাইভে থাকে)। লিনাক্সেও তেমনি রুট পারমিশন প্রাপ্ত ইউজার ছাড়া সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাজগুলো করা যায় না। যিনি লিনাক্স-চালিত কম্পিউটার বা সার্ভারে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন অথবা যার সব কিছু করার অনুমতি রয়েছে, তাকেই রুট ইউজার বলা হয়। অনেক সময় একে সুপারইউজার বলেও সম্বোধন করা হয়ে থাকে।
শব্দটি এতোই প্রচলিত হয়ে গেছে যে, রুট ইউজার বলার বদলে সরাসরি রুট বলেই সেই ব্যবহারকারীকে সম্বোধন করা হয়। অর্থাৎ, আপনার লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের আপনি যদি রুট অ্যাক্সেস প্রাপ্ত ব্যবহারকারী হন, তাহলে আপনি রুট।

লিনাক্স এবং অ্যান্ড্রয়েড

অনেকেরই হয়তো খটকা লাগতে শুরু করেছে যে, অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে কথা বলতে এসে লিনাক্সকে টানা হচ্ছে কেন। মূলত, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমটি লিনাক্স কার্নেলের উপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে। যারা কম্পিউটারে লিনাক্সভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেছেন, তারা অ্যান্ড্রয়েড রুট করার পর কম্পিউটারের মতোই ফাইল সিস্টেম (রুট পার্টিশন) দেখতে পাবেন অ্যান্ড্রয়েডে, তখন বিষয়টা আরও স্পষ্ট হবে।

অ্যান্ড্রয়েডে রুট অ্যাক্সেস

লিনাক্স-ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করার পর আপনার যেই পাসওয়ার্ড থাকবে, সেটি ব্যবহার করেই আপনি রুট অ্যাক্সেস পেয়ে যাচ্ছেন। এখন নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটিও তো আপনিই কিনেছেন, তাহলে আপনি কেন রুট অ্যাক্সেস পাচ্ছেন না?
ট্রিকটা এখানেই। আপনি ডিভাইসটি কিনেছেন ঠিকই, কিন্তু আপনি কিন্তু অপারেটিং সিস্টেমটি ইন্সটল করেননি, তাই না? ডিভাইস প্রস্তুতকারক ডিভাইসটি প্যাকেটজাত করার আগে তাদের কম্পিউটার থেকে লিনাক্স কার্নেলের উপর তৈরি অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করে দিয়েছে। এখানে বলা বাহুল্য, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের মূল ভিত্তিটা এক হলেও একেক কোম্পানি একেকভাবে একে সাজাতে বা কাস্টোমাইজ করতে পারেন। এই জন্যই সনির একটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ইউজার ইন্টারফেসের সঙ্গে এইচটিসির একটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ইন্টারফেসের মধ্যে খুব কমই মিল পাওয়া যায়।
যাই হোক, মূল বিষয়ে আসা যাক। আপনার ডিভাইস প্রস্তুতকারক কোম্পানি ইচ্ছে করেই আপনাকে রুট অ্যাক্সেস দেয়নি। এ কথা শুনে কোম্পানির উপর কিছুটা রাগ অনুভূত হলেও সত্য কথা হচ্ছে এই যে, এটি আপনার ডিভাইসের সুরক্ষার জন্যই করা হয়েছে। আসুন জেনে নিই কেন রুট অ্যাক্সেস স্বাভাবিক অবস্থায় দেয়া থাকে না।

কেন রুট করা থাকে না

ডিভাইস প্রস্তুতকারকরা ইচ্ছে করেই ডিভাইস লক করে দিয়ে থাকেন। রুট ফোল্ডার/পার্টিশনে থাকা ফাইলগুলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এর কোনো একটি দুর্ঘটনাবশতঃ মুছে গেলে আপনার পুরো ডিভাইস কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। এছাড়াও ম্যালিশিয়াস বা ক্ষতিকারক প্রোগ্রামও অনেক সময় রুট করা ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। কিন্তু লক থাকা অবস্থায় ব্যবহারকারী নিজেই রুট অ্যাক্সেস পান না, তাই অন্য প্রোগ্রামগুলোর রুট অ্যাক্সেস পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই বললেই চলে।
ডিভাইস লক করা থাকার আরেকটি কারণ হচ্ছে সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন ও ফাইল। অনেকেই ইন্টারনাল মেমোরি খালি করার জন্য বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন এসডি কার্ডে ট্রান্সফার করে থাকেন। রুট করা থাকলে সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশনগুলোও ট্রান্সফার করে ফেলা যায়। কিন্তু অপারেটিং সিস্টেমের কিছু ফাইল রয়েছে যেগুলো ইন্টারনাল মেমোরির ঠিক যেখানে আছে সেখানেই থাকা আবশ্যক। ব্যবহারকারী যখন ডিভাইস রুট করেন, তখন স্বভাবতঃই অনেক কিছু জেনে তারপর রুট করেন। তখন বলে দেয়াই থাকে যে, কিছু কিছু সিস্টেম অ্যাপস এসডি কার্ডে ট্রান্সফার করলে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু যদি স্বাভাবিক অবস্থায়ই সেট রুট করা থাকে, তাহলে ব্যবহারকারী না জেনেই সেটের ক্ষতি করতে পারেন।
এমন একটি চিত্র কল্পনা করুন, যেখানে প্রযুক্তি নিয়ে খুব একটা ধারণা রাখেন না এমন একজন ভাবলেন যে তিনি তার ফোনের ইন্টারনাল মেমোরি ফাঁকা করবেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি রুট ফোল্ডারে গিয়ে সবগুলো ফাইল কাট করে এসডি কার্ডে ট্রান্সফার করে দিলেন। রুট অ্যাক্সেস থাকার কারণে ট্রান্সফারের সময় ডিভাইস তাকে বাধা দেবে না। কিন্তু ট্রান্সফারের মাঝেই ফোনটি বন্ধ হয়ে যাবে এবং আর ঠিকমতো কাজ করবে না। তখন তিনি দোষ দেবেন কোম্পানির কাঁধে। কিন্তু রুট লক করা থাকলে ব্যবহারকারী রুট ফোল্ডার খুঁজেই পাবেন না।
আশা করছি এবার বুঝতে পারছেন কেন ডিভাইস বাই ডিফল্ট রুট করা থাকে না। কিন্তু ৯০% (কিংবা তারও বেশি) ডিভাইসই রুট করা যায়। যাদের রুট করার একান্ত প্রয়োজন, তাদের রুট করার উপায় রয়েছে। কিছু কিছু কোম্পানি (যেমন সনি) নিজেদের সাইটেই ডিভাইস রুট করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজের প্রণালী দিয়ে রেখেছে। কিন্তু তবুও কোম্পানি নিজেরা রুট করা ডিভাইস বাজারে ছাড়ে না, কারণ বেশিরভাগ ক্রেতাই সাধারণ ক্রেতা হয়ে থাকেন যাদের ডিভাইস রুট করার কোনো প্রয়োজনই নেই।

কেন ডিভাইস রুট করবেন?

ডিভাইস রুট করার কারণ একেক জনের একেক রকম হয়ে থাকে। কেউ ডিভাইসের পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য বা ইন্টারনাল মেমোরি ফাঁকা করার জন্য রুট করে থাকেন, কেউ ওভারক্লকিং করার মাধ্যমে ডিভাইসের গতি বাড়ানোর জন্য রুট করেন, কেউ স্বাধীনভাবে কাজ করা ডেভেলপারদের তৈরি বিভিন্ন কাস্টম রম ব্যবহার করার জন্য, কেউ বা আবার রুট করার জন্য রুট করে থাকেন। আমি নিজেও প্রথম রুট করেছিলাম কোনো কারণ ছাড়াই। লিনাক্স ব্যবহার করি বলে বিভিন্ন সময় রুট হিসেবে অনেক কাজ করেছি কম্পিউটারে। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড ফোনে রুট পারমিশন না থাকায় একটু কেমন যেন লাগছিল। তাই রুট হওয়ার জন্য রুট করেছিলাম।
পরে অবশ্য পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে শুরু করেছি যেগুলো রুট করা ডিভাইস ছাড়া কাজ করে না। তবে সেসব নিয়ে পড়ে কথা হবে। চলুন আগে এক নজর দেখে নিই রুট করার সুবিধা ও অসুবিধা।

রুট করার সুবিধা

  • পারফরমেন্স বাড়ানোঃবিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ডিভাইসের অব্যবহৃত ফাইল, টেমপোরারি ফাইল ইত্যাদি নিয়মিত মুছে ফোনের গতি ঠিক রাখা।
  • ওভারক্লকিং করাঃ সিপিইউ স্পিড স্বাভাবিক অবস্থায় যতটা থাকে তারচেয়ে বেশি দ্রুত কাজ করানো। এর মাধ্যমে কোনো বিশেষ কাজে প্রসেসরের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন পড়লে তা করা যায়।
  • আন্ডারক্লকিং করাঃ যখন ডিভাইস এমনিতেই পড়ে থাকে, তখন সিপিইউ যেন অযথা কাজ না করে যে জন্য এর কাজের ক্ষমতা কমিয়ে আনা। এতে করে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো সম্ভব।
  • কাস্টম ইউআই: আপনার ডিভাইসের হোমস্ক্রিন, লক স্ক্রিন, মেনু ইত্যাদি বিভিন্ন ইউজার ইন্টারফেসের ডিজাইন একটা সময় পর আর ভালো নাও লাগতে পারে। তখন আপনি ডিভাইসে নতুনত্ব আনতে পারবেন নতুন সব কাস্টম ইউজার ইন্টারফেসের মাধ্যমে। এগুলোকে অন্যভাবে রমও বলা হয়।
  • কাস্টম রম: ইন্সটল করার সুবিধা। অনেক ডেভেলপার বিভিন্ন জনপ্রিয় ডিভাইসের জন্য কাস্টম রম তৈরি করে থাকেন। এসব রম ইন্সটল করে আপনি আপনার সেটকে সম্পূর্ণ নতুন একটি সেটের রূপ দিতে পারবেন। বাইরে থেকে অবশ্যই এর ডানা-পাখনা গজাবে না বা ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল থেকে ৮ মেগাপিক্সেল হবে না, কিন্তু ভেতরের ডিজাইন ও ক্ষেত্রবিশেষে পারফরম্যান্সেও আসবে আমূল পরিবর্তন।

রুট করার অসুবিধা

  • ওয়ারেন্টি হারানোঃ ডিভাইস রুট করার মাধ্যমে আপনার ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাবে। তাই রুট করার আগে সাবধান। অবশ্য অনেক সেট আবার আনরুট করা যায়। আর সেট আনরুট করা হলে তা সার্ভিস সেন্টারে থাকা টেকনিশিয়ানরা অনেক সময়ই ধরতে পারেন না যে সেটটি রুট করা হয়েছিল। তবে কাস্টম রম থাকলে ধরা খাওয়া এড়ানোর উপায় নেই।
  • ফোন ব্রিক করাঃ  ব্রিক অর্থ ইট। আর ফোন ব্রিক মানে আপনার ডিভাইসকে ইটে রূপান্তরিত করা। অর্থাৎ, এর কাজ করার ক্ষমতা হারানো। রুট করা ও এর পরবর্তী বিভিন্ন কাজের সময় একটু এদিক-সেদিক হলেই ফোনে স্থায়ী বা অস্থায়ী সমস্যা হতে পারে। আপনার ফোনের প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফোনটি আনরুট অবস্থায় দেন যেন এর ক্ষতি না হয়। রুট করার মাধ্যমে আপনি সেই নিশ্চয়তা ভেঙ্গে ফেলছেন।

রুট করার পদ্ধতি ও শেষ কথা

এই ছিল রুট নিয়ে যত বকবকানি। রুট নিয়ে বা এর করা-না করা, উপকারিতা-অপকারিতা নিয়ে আরও অনেক কথা বলা যায়, কিন্তু এগুলোই হচ্ছে বেসিক কথা। আশা করছি এতটুকু পড়েই আপনারা বেশ স্পষ্ট একটি ধারণা পেয়েছেন ডিভাইস কেন রুট করা হয়, এর সুবিধা-অসুবিধা ইত্যাদি। এখন অনেকেই তাদের ডিভাইস রুট করতে চাইবেন। তাদের জন্য বলছি, একেক ডিভাইস রুট করার পদ্ধতি একেক রকম। স্যামসাং গ্যালাক্সি ওয়াই রুট করার পদ্ধতির সঙ্গে এইচটিসি ওয়ান এক্স রুট করার পদ্ধতির কোনো মিল নেই। এইচটিসি কেন, গ্যালাক্সি ওয়াই-এর সঙ্গে স্যামসাং-এরই অন্য কোনো সেট রুট করার পদ্ধতি এক নয়।
এছাড়াও একই ডিভাইস রুট করার একাধিক পদ্ধতিও রয়েছে। আবার একটি পদ্ধতি দিয়ে একাধিক ডিভাইস রুট করা যায়। রুটের বিষয়টি এতোটাই জটিল ও বিস্তৃত যে, রাতারাতিই এ নিয়ে সব লিখে ফেলা যায় না। আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে, নিজেদের হাতে সেট না থাকলে রুট করার পদ্ধতি নিয়ে টিউটোরিয়াল লেখাও যায় না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বিভিন্ন সময় আমাদের হাতে আসা ও পরিচিতদের ডিভাইস রুট করার পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন সময় পোস্ট প্রকাশ করবো। আর যদি বিশেষ কোনো ডিভাইস নিয়ে রুট করার টিউটোরিয়ালের জন্য একাধিক অনুরোধ আসে, তাহলে আমরা এক্সডিএ থেকে অনুবাদ করে টিউটোরিয়াল দেবো। বলা বাহুল্য, এক্সডিএ অ্যান্ড্রয়েড বিষয়ক সবচেয়ে বড় ফোরাম যেখানে অ্যান্ড্রয়েডসহ বিভিন্ন সিনিয়র রম ডেভেলপারদের সম্মেলন ঘটে।
এবার আপনার পালা। আপনার ডিভাইসটি কি রুট করা? রুট করা হলে আমাদের জানাতে পারেন কীভাবে ডিভাইসটি রুট করেছেন। আর যদি এখনও রুট না করে থাকেন, তাহলে মন্তব্যের ঘরে বলুন এই লেখা পড়ে আপনি কী ভাবছেন।
রুট করবেন? নাকি রুট করবেন না?
সৌজন্যেঃ  সজীব

কম্পিউটারেই চালান অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম

আমাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে আমরা কত কিছুই করি। অ্যান্ড্রয়েড হচ্ছে একটি ওপেন সোর্স ওএস (Open Source) এটি দিয়ে যে কতকিছু করা যায় তা কল্পনার বাইরে। ঠিক তেমনি, আপনি কি কখনও ভেবেছেন যে আপনার পিসি তে অ্যান্ড্রয়েড চালাবেন? আসুন আজ আপনাদের দেখাই কীভাবে আপনি আপনার কম্পিউটারে অ্যান্ড্রয়েড চালাতে পারবেন। এই কাজে যে সফটওয়্যারটির প্রয়োজন পড়বে তার নাম Bluestacks।
প্রথমেই দেখে নিন যে আপনার পিসি-তে কি Bluestacks সাপোর্ট করবে কিনা!
  • ডুয়াল-কোর প্রসেসর বা এর বেশি;
  • ২ জিবি র‌্যাম বা এর বেশি;
  • DirectX 11 সমর্থন করে এমন একটি গ্রাফিক্স কার্ড;
  • মনিটরের রেজুলেশন ১০২৪x৭৬৮ এর বেশি।

যেভাবে Bluestacks ইন্সটল করবেন

  1.    প্রথমেই Bluetstacks এর ওয়েবসাইট থেকে ইনস্টলারটি ডাউনলোড করুন।

2. BlueStacks-SplitInstaller_native.exe ফাইল-টি Run As Administrator দিয়ে চালু করুন।

3. ইনস্টলার-টি চালু হলে Continue চাপুন!

৪. এবার ইন্সটল- এ চাপ দিন!
৫. এবার সফটওয়্যার-টির ইন্সটল শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন (ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন)
ইন্সটল শেষ হয়ে গেলে সফটওয়ারটি চালু হয়ে যাবে।
এ পর্যায়ে এটাকে দেখতে একটি অ্যাপ্লিকেশন প্লেয়ারের মতই লাগে। এখন কেবল লঞ্চার ইন্সটল করা বাকি।

যেভাবে Launcher ইন্সটল করবেন

1. প্রথমেই Bluestacks চালু করুন (ডেস্কটপ এর শর্টকাট বা স্টার্ট মেনু থেকে)।
2. তারপর আপনার ইচ্ছে মত যেকোনো একটি Launcher এর APK ফাইল-টি ডাউনলোড করে নিন। আমি Go Launcher এর লিঙ্ক দিয়ে দিলামঃ Go Launcher.apk
3. APK-টি ডাউনলোড হলে Right Click করে Open With > Bluestacks APK Handler- এ ক্লিক করুন। এখন একটি উইন্ডোজ আসবে। Install APK শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৪. APK Install হয়ে গেলে Bluestacks এ ফিরে যান। এবং নিচের Bluestacks এর আইকন টিতে চাপ দিন! (এটি হচ্ছে Home Button)
৫. এখন Use By Default For This Action এর টিক দিন এবং তারপর Go Launcher এ ক্লিক করুন।
হয়ে গেলো! এখন গুগল প্লে স্টোরে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করে পছন্দমতো অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করে ব্যবহার করুন।
বলা বাহুল্য, ব্লুস্ট্যাকস দিয়ে যাদের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস নেই তারা অ্যান্ড্রয়েড চালাতে কী রকম লাগে তার একটা ধারণা পাবেন মাত্র। সাধারণত মূল অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমটি ফোনে ব্লুস্ট্যাকসের চেয়ে অনেক দ্রুত কাজ করে। তাই অ্যান্ড্রয়েড না কিনেও অ্যান্ড্রয়েডের কিছুটা স্বাদ নিতে ব্লুস্ট্যাকস ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
সৌজন্যেঃ  সাকিবুল ইসলাম

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ Android Assistant





আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি জনপ্রিয় একটি অ্যাপ্লিকেশন যার নাম Android Assistant. যারা এই অ্যাপ্লিকেশনের সঙ্গে পরিচিত নন, তাদের পরিচয় করিয়ে দিতেই আমাদের আজকের এই রিভিউ।
Android Assistant অন্যান্য অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ এর তুলনায় বেশ ছোট আকারের অ্যাপ। এর সাইজ ১ এমবি থেকেও কম। রিভিউ লেখার সময় পর্যন্ত প্লেস্টোর এ অ্যাপটির রেটিং ছিল ৪.৬/৫; অতএব বুঝতেই পারছেন অ্যাপ্লিকেশনটি কতোটা জনপ্রিয়।
অ্যাপটি ওপেন করার পর আপনি খেয়াল করবেন যে এতে মূলত তিনটি প্রধান ট্যাব রয়েছে। এগুলো হচ্ছে মনিটর, প্রসেস এবং টুলস।
অ্যাপটি ওপেন করার পর এটর ডিফল্ট ট্যাবে আপনি দেখতে পারবেন আপনার ফোনের সিপিইউ কত শতাংশ ব্যবহার হচ্ছে কিংবা আপনার দরকারি কাজটি করবার জন্য আপনার ফোন কত পরিমাণ র‌্যাম ব্যবহার করছে। আপনি চাইলে Quick Boost অপশনে ক্লিক/ট্যাপ করে ফোনের অনেকটা র‌্যাম ফাঁকা করে নিতে পারবেন যা এক কথায় টাস্ক কিলার এর কাজ করবে। আপনি এখান থেকে ফোনের ক্যাশ ফাইলও ক্লিন করতে পারবেন।
এছাড়াও মুল ট্যাবেই দেখতে পারবেন আপনার ফোনের ব্যাটারির চার্জ আর কত শতাংশ বাকি আছে। এর সাথে সাথে অ্যাপটি আপনাকে আপনার ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ এবং যদি এসডি কার্ড থাকে তবে সেটির স্টোরেজ সম্পর্কেও যাবতীয় তথ্য দেখাবে।
দ্বিতীয় ট্যাবে আপনি দেখতে পারবেন আপনার ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে কী কী অ্যাপ চলছে। আপনি চাইলে সেগুলো বেছে বেছে বন্ধ করে দিতে পারেন। অন্যান্য টাস্ক কিলার অ্যাপ মূলত যা করে তা হচ্ছে সেগুলো শুধুমাত্র ব্যাকগ্রাইন্ডে চলতে থাকা অ্যাপগুলোই প্রদর্শন করে। কিন্তু এই অ্যাপটি ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপগুলোর সাথে চলতে থাকা লঞ্চার, বিভিন্ন সার্ভিস এবং উইজেট কতটুকু মেমোরি ব্যবহার করছে তা সহ দেখিয়ে দেয়। এতে করে যদি কোন উইজেট অতিরিক্ত র‌্যাম ব্যবহার করে থাকে তবে আপনি তৎক্ষণাৎ তা বন্ধ করে করে দিতে পারবেন।
তৃতীয় ট্যাবটি হচ্ছে এই অ্যাপটির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ও দরকারি ফাংশনগুলোর সমন্বয়। ক্যাশ ফাইল রিমুভ করা, ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর জন্য ম্যানুয়াল সেটিংস্‌, স্টার্টআপ প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রণ করা থেকে শুরু করে প্লে স্টোর থেকে ফোনে ইন্সটল করা অ্যাপগুলোর এপিকে ফাইলগুলোকে সহজে ব্যাকআপ হিসেবে সংরক্ষণ করার মত কাজগুলো আপনি অনায়াসে করতে পারবেন এখান থেকে। এছাড়াও এতে দেয়া হয়েছে সাধারণ একটি ফাইল ম্যানেজার, যেখান থেকে আপনি আপনার ফোনের ফাইলগুলো সহজে ম্যানেজ করতে পারবেন।
এছাড়াও রয়েছে “App 2 SD” অপশন। আপনি যদি ফোনে এমন কোন অ্যাপ ইন্সটল করেন যেটি রুট ছাড়াই এক্সটারনাল মেমোরি কার্ড এ মুভএবল তাহলে অপশনটি আপনাকে স্ট্যাটাস বারে একটি নোটিফিকেশন দেখাবে। যদিও অপশনটি “Link2SD” অ্যাপ’র মত ততটা কাজের নয় তবে যাদের ফোন রুট করা নেই তাদের জন্য এই অপশনটি অনেক দরকারী হবে বলেই আমার ধারণা। এগুলো ছাড়াও আপনি একসাথে অনেকগুলো এপিকে ফাইল ইন্সটল কিংবা আনইন্সটল করতে চাইলে এতে রয়েছে ব্যাচ ইন্সটলার ও ব্যাচ আনইন্সটলার। কিংবা যদি আপনার সাধের ডিভাইসটির ফিচার সম্বন্ধে (সিপিইউ স্পিড, সেন্সর, র‌্যাম, রম, ইত্যাদি) আরও একটু ভালোভাবে জানতে চান তাহলে সিস্টেম ইনফোতে ক্লিক করে কোন রকম ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই তা খুব সহজেই জানতে পারবেন।
গুগল প্লে স্টোর লিংকঃ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাসিসট্যান্ট 
সাধারণত দেশী ব্র্যান্ডের প্রায় সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই এই অ্যাপটি ডিফল্ট ইন্সটল করে দেয়া থাকে। রিভিউটির আগে থেকেই যদি আপনি পরিচিত থাকেন Android Assistant এর সাথে তাহলে অ্যাপটি আপনার কতোটা কাজে আসছে তা নিচের মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না। আর যদি আজই প্রথম এই অ্যাপ্লিকেশনটির নাম শুনে থাকেন, তাহলে এখনই প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্সটল করে আপনার অভিজ্ঞতা বা প্রশ্ন জানান মন্তব্যের ঘরে। 
সৌজন্যেঃ সিয়াম সাব্বির

Saturday, 5 July 2014

Island Experiment 2.143

Current Version:2.143
Requires Android:2.3 and up
Category:Casual
v2.143 update:
Get ready for new mystical adventures on the island!
  • - Dangerous experiments: new and extraordinary researches!
  • - Clue to puzzles is closer: the quest requirements have been simplified!
  • - Exploratory teams: now you can invite your Facebook friends!
  • - Break the secrets for reward: the most fabulous gifts for researches!
Mysterious experiments await!
Overview:
A group of scientists conducted illegal experiments on the territory of an uninhabited island.