উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীগণ সাধারণত মাইক্রোসফটের ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করে থাকেন। আর এতে যে কোন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে গেলে একটি সমস্যার মধ্যে পড়েন। সেটি হচ্ছে ব্রাউজার প্রোগ্রাম ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার হ্যাং হয়ে যায়। আর তা হয়ে থাকে সহজেই ভাইরাস আক্রান্ত হবার ফলে। তবে এ ধরনের সমস্যাকে এড়িয়ে যেতে পারেন ফায়ার ফক্স ব্রাউজার প্রোগ্রাম ব্যবহারের মাধ্যমে।এছাড়া ফায়ার ফক্স ব্রাউজার প্রোগ্রামের গতি বাড়িয়ে আরো স্বাছন্দে প্রয়োজনীয় তথ্য ব্রাউজ করতে পারেন। বিনামূল্যে ফায়ার ফক্স ব্রাউজার প্রোগ্রাম ডাউনলোড করা যায় এবং ডাউনলোড সম্পন্ন হলে তা ইনস্টল করুন। এরপরে ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে ব্যবহার করুন। ফায়ার ফক্স ডিফল্ট সেটিংস থাকা অবস্থায় ওপেন করলে অতিরিক্ত কাজ করার দরুন সময় বেশি লাগে। সেজন্যে কিছু সেটিংস পরিবর্তন করা ভাল। এবার আসুন ফায়ার ফক্সের গতি কিভাবে বাড়ানো যায় তা লক্ষ্য করিঃ
১) প্রথমে ফায়ার ফক্স ওপেন বা খোলার পর এড্রেসবারে লিখুনঃ about:config এখানে প্রয়োজনীয় সেটিংস সমূহ প্রদর্শিত হয়।২) এবার ফিল্টার বক্সে লিখুন network.http.pipelining। এটি লিখার সঙ্গে সঙ্গে তা নিম্নে প্রদর্শিত হয়। এর ডানপার্শ্বে ক্লিক করে এর ভেল্যু False থেকে True নির্বাচন করুন।৩) একইভাবে network.http.proxy.pipelining এর ভেল্যু False থেকে True নির্বাচন করুন।৪) এরপর ফিল্টারবক্সে network.http.pipelining.maxrequests লিখুন। এর ভেল্যু ৮ নির্বাচন করুন।৫) একটি প্রিফারেন্স নাও থাকতে পারে। সেটি হচ্ছে nglayout.initialpaint.delay। সেক্ষেত্রে এই উইন্ডোতে থাকা অবস্থায় রাইট ক্লিক করুন। এখানে New>Integer হতে নতুন প্রিফারেন্সের নাম লিখুন।এবার এতে ভেল্যু ০ দিন।এই পর্যায়ে ফায়ার ফক্স বন্ধ করে আবার চালু করুন। ফলে আগের চেয়ে বেশি গতিতে ফায়ার ফক্সে ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা যাবে। উপরোক্ত টিপস্ এন্ড ট্রিকস্ এর সহায়তায় আপনার কম্পিউটারকে নিঃসন্দেহে অনেকটা গতিশীল ও কার্যক্ষম করে তুলতে পেরেছেন। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের আরো ট্রাবলশুটিং এর মাধ্যমে কম্পিউটারকে আরো কার্যকর করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে সচেতন হতে হবে। কার্যকরভাবে কম্পিউটারের ট্রাবলশুটিং করতে পারলে পিসির পারফর্মান্স ব্যাপারে আপনি নিজেই নিশ্চিত থাকতে পারবেন।
No comments:
Post a Comment