ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন জীবনে ইমেইল একটি অবিছেদ্দ্য অংশ। যোগাযোগ, নিউজলেটার সাবস্ক্রিপশন, সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল তৈরি সহ আরও অনেক কাজে ইমেইলের প্রয়োজন হয়। তবে অসাবধানতার কারনে এই ই-মেইল অনেক সময় বিপদের কারনহয়। ইমেইল এটাচমেন্টে থাকা ভাইরাস, ম্যালওয়্যারসহ বিভিন্ন রকম ক্ষতিকর প্রোগ্রাম নিরাপত্তার জন্য হুমকীস্বরুপ। একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে এক্ষেত্রে অনেকটাই নিরাপদ থাকা সম্ভব।
ক্ষতিকর ইমেইল অথবা ইমেইল এটাচমেন্ট সনাক্ত করার জন্য নিচের পদ্ধতিগুলো অবলম্ভন করতে পারেন।
১- ফাইল এক্সটেনশন দেখুন
এটাচমেন্টের ফাইল এক্সটেনশন দেখেই অনেক সময় বোঝা সম্ভব যে এটি ক্ষতিকর কিনা। এটাচমেন্টের এক্সটেনশন যদি .exe হয়, তাহলে বুঝতে হবে এটি একটি এক্সিউটেবল উইন্ডোজ প্রোগ্রাম এবং ভুলেও এটি খুলবেন না। এছাড়াও .msi, .bat, .com, .cmd, .hta, .scr, .pif, .reg, .js, .vbs, .wsf, .cpl, .jar এই এক্সটেনশনগুলোও ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত।
২- এনক্রিপ্টেড ফাইল কিনা দেখুন
আর্কাইভ বা জিপ ফাইলের ভেতর অনেক অনেক সময় ক্ষতিকর প্রোগ্রাম থাকতে পারে। এনক্রিপ্টেড আর্কাইভ গুলো এক্ষেত্রে আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ন। যেমন ধরুন কেউ একজন আপনাকে একটি .zip, .rar অথবা একটি .7z ফাইল এবং পাসওয়ার্ড পাঠালো সেই ফাইলটি খোলার জন্য। তখন এটি না খোলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
৩- প্রেরকের ঠিকানা দেখুন
ইমেইলের এটাচমেন্ট খোলার ক্ষেত্রে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। অপরিচিত কারো পাঠানো ইমেইল এটাচমেন্ট না খোলাই ভাল। সাধারনত অপরিতিচ কারো পাঠানো সন্দেহজন এটাচমেন্টে অনেকটা নিশ্চিত ভাবেই ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার থাকে।
৪- সন্দেহজন লেখা কিনা পরখ করুন
কিছু কিছু ইমেইল পড়েও বোঝা সম্ভব যে এটি সন্দেহজনক কিনা। অনেক সময় মোটা অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে কিংবা লটারী জিতেছেন এরকম কথা বলেতে পারে। অনেক সময় মাইক্রোসট বা গুগলের নাম দিয়ে ইমেইল পাঠিয়ে বলা হয় এটাচমেন্ট খুলে রান করানোর জন্য যা কিনা সম্পূর্ন ভুয়া।
৫- এন্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করুন
পরিচিত লোকজনের কাছ থেকে পাঠানো ইমেইল এটাচমেন্ট খোলার আগে এন্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করে নিন। কারন অনেক সময় প্রেরকের অজান্তেই ক্ষতিকর প্রোগ্রাম চলে আসতে পারে এটাচমেন্টের মাধ্যমে।
এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করলে ক্ষতিকর প্রোগ্রাম থেকে আপনার কম্পিউটার অনেকাংশেই নিরাপদ রাখা যাবে।
No comments:
Post a Comment