আইপি এড্রেস পরিবর্তন খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারন এর মাধ্যমে আমরা অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারব। আমরা অনেকে রেপিডশেয়ার থেকে ফাইল ডাউনলোড করি। একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর এইসব ফাইল হোস্টিং সাইট ডাউনলোডের সুযোগ দিয়ে থাকে। আইপি হাইডের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা যায়। এই আইপি পরিবর্তনের ফলে আমরা ফায়ারওয়াল বাইপাস করতে পারব। অনেক সাইট রয়েছে যেগুলো থেকে একটি আইপি দিয়ে একটি একাউন্ট খোলা যায়। আপনি আইপি পরিবর্তন বা হাইড করে সেখান থেকে অনেকগুলো একাউন্ট করতে পারেন।হ্যাকিং করার সময় নিজেকে ধরা খাওয়ার হাত থেকে বাঁচানো যায়। এটা করার দ্বারা অন্যকে খুব ভালোভাবে বোকা বানানো যায়। প্রক্সি শিখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারন হ্যাকিং করার সময় এটা আপনাকে নিশ্চিন্ত রাখে।তাহলে শুরু করা যাক।
মনে করুন আপনি কোন মেয়েকে প্রপোজ করবেন। কিন্তু আপনি তার প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে সন্ধ্বিহান। তাহলে আপনিকি করবেন? আপনার কোন বন্ধুকে বলবেন তাকে বলার জন্য যে আপনি মেয়েটিকে ভালোবাসেন, তাই না? আর এটাই প্রক্সি। হিহি, আসলে এটা প্রক্সি না এটা হচ্ছে প্রক্সির ব্যাপারে একটা উদাহরন।
যখন আপনি কোন তথ্য কোন ওয়েবসার্ভারকে পাঠাবেন তখন ঐ সার্ভার সবর্প্রথম আপনার আইপি দেখবে। তখন সে সহযেই আপনাকে ট্রেস করতে পারবে। আর যদি আপনি প্রক্সি সেট করেন তখন যদি আপনি কোন তথ্য ঐ একই সার্ভারকে পাঠাতে চান তাহলে সে আর আপনাকে ট্রেস করতে পারবে না কারন তখন সে আপনার আইপি খুজতে গিয়ে পাবে প্রক্সি সার্ভারের আইপি। নিচে প্রক্সির কাযর্কলাপ লক্ষ্য করুন।
প্রক্সি করার আগেঃ
আপনি —> ইয়াহুতে তথ্য পাঠাচ্ছেন —–> ইয়াহু আবার আপনাকে প্রতিউত্তর দিচ্ছে
প্রক্সি করার পরঃ
আপনি —> প্রক্সি সার্ভার —-> ইয়াহুসার্ভার —-> প্রক্সি সার্ভার —–> প্রতিউত্তর
আশা করি প্রক্সি সম্পর্কে একটা সাম্মক জ্ঞান আপনাদের লাভ হয়েছে। প্রক্সি করার পর লক্ষ্য করবেন আপনার ইন্টারনেটের গতি একেবারে কমে গেছে। এখন একটি গল্প বলছি।
কিছু মাস আগে আমেরিকার একটি ১৬ বৎসর বয়সের বালকনাসার ওয়েবসাইটে ডস এ্যাটাক চালাল। ওই মূহুর্তে নাসা তাদের একটি রোবট মঙ্গল গ্রহে পাঠায়। যখন বালকটি ডস এ্যাটাক চালায় ঠিক তখনই রোবটটি মঙ্গলে অবতরন করেছিল। এ্যাটাকের পর রোবটটি থেমে গিয়েছিল। এর পর নাসার সব বিজ্ঞানীরা একে অপরের মুখের দিকে নির্বোধের মত তাকাতে লাগল। কি হচ্ছে এসব?
এখন তারা খুজতে লাগল কে এই কাজ করেছে। ঠিক ১৪দিনের মাথায় তারা বালকটি সম্পর্কে জানতে পারল এবং তাকে পাকরাও করল।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে কেন আমি গল্পটি এখানে লিখলাম, তাই না?
আসলে বালকটি তার আইপি পরিবর্তন করেছে ৪ বার। সে প্রথমে প্রক্সি ব্যবহার করে। তারপর তার আগের প্রক্সির জায়গায় নতুন প্রক্সি বসায়। এভাবে ৪ বার সে তার আইপি বদলায়। কিন্তু সে তার ম্যাক এড্রেস পরিবর্তন করে নি। আমি আপনাদের সবইবলছি, যদি আপনি প্রক্সি ব্যবহার করেন তখন ওয়েবমাস্টার আপনাকে ট্রেস করতে পারবে না কারন যখন সে আপনার আইপি খুঁজবে তখন পাবে প্রক্সি। যদি আপনি ১০ বার প্রক্সি পরিবর্তন করেন তাহলে ১০০% নিশ্চিত থাকতে পারেন যে আপনি ১ মাসের জন্য নিরাপদ। এফবিআই প্রথমে ১০প্রক্সি ট্রেস করার চেষ্টা করবে, তারপর ৯নং এভাবে চলতে থাকবে শেষ নাহওয়া পযর্ন্ত। এভাবে ১ মাস চলে যাবে। তারা সরাসরি আপনার পিসি থেকে ট্রেস করতে পারবে না। তাদের শশরীরে যেতে হবে এক একটি প্রক্সি ট্রেস করার জন্য। সুতরাং সময় লাগবে। আমার মনে হয় আপনারা প্রক্সির গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন।
প্রথমে গুগলে সার্চ দিন ‘list of proxy address’ লিখে।
অনেক ফলাফল আসবে আপনার সামনে। ওইখান থেকে প্রথমে যেকোন একটি ফলাফল বেছে নিন। তারপর ওই ওয়েবসাইটে দেখবেন অনেক আইপি এড্রেস রয়েছে সাথে পোর্ট নাম্বার। আপনি যা দেখছেন। প্রত্যেকটি হচ্ছে এক একটি প্রক্সি সার্ভার এর আইপি।
এখন আপনি যেকোন একটি আইপি এবং পোর্ট কপি করেন। এবার আপনি আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার খুলুন এবং নিচের পন্হা অনুসরন করুন।
tools > internet option > connection > lan setting
ল্যান সেটিংয়ে যান। সেখানে আপনি নীল রংয়ের দুটি লাইন দেখতে পাবেন। একটা হচ্ছে Automatic Configuration এবং অন্যটা হচ্ছে Proxy Server
এখন Proxy Server নামের ট্যাবে আপনি দেখতে পাবেন ৪টা ব্লক। তারমধ্যে ২টা টিক চিন্হ দেয়ার জন্য আর ২টা হচ্ছেঠিকানা দেয়ার। আপনি ২টাতে টিক দিয়ে দিন। ঠিকানার ঘরে আপনি আপনার কপিকৃত আইপি এড্রেসটি দিয়ে দিন আর পোর্ট এর ঘরে কপিকৃত পোর্টটি। মনে রাখবেন টিক দিতে কিন্তু ভুলবেন না। এবার ওকে করুন।
এবার খুলুন www.whatismyip.com
এখন ওখানে আপনি দেখতে পাবেন আপনার আইপি পরিবর্তন হয়েছে।
মজিলা ফায়ারফক্সের ক্ষেত্রে
tools > options > advanced > network > settings
এখানে সেটিংসে আইপি এবং পোর্ট নাম্বার দিন। ওকে করুন। এরকম অনেক ব্রাউজার রয়েছে। আসলে সবগুলোর সিস্টেম একই। একটু চেষ্টা করলেই আপনি করতে পারবেন।
একি আবারও প্রশ্ন করছেন কেন আপনি প্রক্সি ব্যবহার করবেন?
শুনুন, ইন্টারনেটে হ্যাকিং জাতিয় কাজ করতে গেলে প্রক্সি রাখবে আপনাকে একেবারে নিশ্চিন্ত। কিন্তু প্রক্সির বন্যা বসাবেন কিভাবে?
প্রক্সি বন্যা মানে হচ্ছে প্রথমে একটি প্রক্সি নিবেন তারপর আরেকটি বদলাবেন, তারপর আরেকটি এভাবে চলতে থাকবে। এটা করলে আপনি থাকবেন একেবারে নিশ্চিন্ত। আমি্ এখন আপনাদেরকে কয়েকটি সফটওয়্যারের নাম বলব যেগুলো প্রক্সি বন্যার জন্য যথেষ্ট। তবে আপনি ইচ্ছে করলে গুগল ব্যবহার করে আরও অনেকগুলো পেতে পারেন।
SocksChain
Happy Browser Tool
Multiproxy
Tor
যখন আপনি কোন হ্যাকিংয়ের কাজ আরম্ভ করবেন তখন উপরের যেকোন একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন। তাহলেই আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন। উপরের সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে মাল্টিপ্রক্সি টুলটি অসাধারন।
এখন অতিরিক্ত কিছুঃ
Browzar নামে একটি সফটওয়্যার আছে এটি ব্যবহার করুন হ্যকিংয়ের সময়। কারন এই টুলটি কোন লগ ছেড়ে আসে না। অত্যন্তনির্ভরযোগ্য একটি সফটওয়্যার। ঠিক এর মতই আরেকটি টুল হচেছ Torpark Browser
এখন মনে করুন আপনি প্রক্সি ব্যবহার করলেন কিন্তু খেয়াল করবেন যে আপনার ইন্টারনেটের গতি কমে গেছে। এখন উপায়?
এক্ষেত্রে আপনি ব্যবহার করতে পারেন Ultra Surf এটা আপনাকে যথেষ্টভাবে সাহায্য করবে। তেমন কিছুই করতে হয় না। ডাউনলোড করার পর দুটো ক্লিক করুন। একটি তালার চিন্হ দেখতে পাবেন। এবার মনের সুখে ব্রাউজিং করুন
উপরে কিছু প্রক্সি সেবাদানকারী সাইটও রয়েছে যেগুলো আপনাকে ব্লক করা ওয়েবসাইটেও প্রবেশ করতে সহায়তা করবে।
প্রক্সি সার্ভার ৪ ধরনের হয়ে থাকে।
. ট্রান্সপারেন্ট প্রক্সি
. এনোনিমাস
. ডিসটোরটিং
. হাই এনোনিমিটি (এটাই সবচেযে ভালো)
প্রক্সি চেক করতে পারেন এখানে।
আইপি লুকানোর জন্য কিছু কার্যকরী সফটওয়্যার নিচে দেয়া হল।
Hide IP Next Generation
Hide The IP
Hide-MY-IP
উপরের সফটওয়্যারগুলো সবডেমো। আপনি আগে ব্যবহার শিখুন। তারপর ফুল ভার্সন ব্যবহার করুন। এছাড়াও ইন্টারনেট সার্চকরলে আরও অনেক সফটওয়্যার পেতে পারেন। আর টরেন্ট সার্চ করলে ফুল ভার্সন পেয়ে যাবেন।
No comments:
Post a Comment